পশ্চিমবঙ্গে বার্ড ফ্লুর প্রকোপ, ছড়াতে পারে বাংলাদেশেও
প্রকাশিত : ১৮ মার্চ ২০২৩ ২:৩১ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশের সীমান্তঘেষা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের লাগোয়া ঝাড়খণ্ড রাজ্যে এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহে ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলায় বার্ড ফ্লু আক্রান্ত চার হাজার হাঁস-মুরগি মেরে ফেলা হয়। রাজ্যের রাজধানী রাঁচিতেও বার্ড ফ্লু শনাক্ত হয়েছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে দ্রুত সতকর্তা অবলম্বনের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
তারা বলছেন, সীমান্ত দিয়ে হাস-মুরগি বা যেকোনো পাখি কোয়ারিন্টিন ছাড়া আনা যাবে না, খামারে জৈব সুরক্ষা জোরদার করতে হবে এবং ডিম বা মুরগির মাংস ভালোভাবে সিদ্ধ না করে খাওয়া যাবে না। সচেতন না হলে রোগটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তথ্যমতে, আক্রান্ত মুরগি বা পাখি থেকে অন্য পাখি বা মুরগি আক্রান্ত হতে পারে। আধা সেদ্ধ মুরগির মাংস বা ডিম খেলে, এমনকি আক্রান্ত পাখি ধরে হাত না ধুলে রোগটি মানবদেহেও সংক্রমিত হতে পারে। যদিও বাংলাদেশে এখনও বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ ধরা পড়েনি। তবে, সচেতন না হলে বিপত্তি ঘটতে পারে।
চিকিৎসকরা জানান, দীর্ঘ সময় জ্বর, সর্দি-কাঁশি, গলাব্যথা, ডায়রিয়া এই ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) সহকারী প্রক্টর ডা. বশির আহমেদ জয় বলেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত অনেক রোগীর জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া হতে পারে। এ ছাড়া কারও যদি জটিল রোগ থাকে তাহলে তার মৃত্যুও হতে পারে।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান ডক্টর সাইফুল ইসলাম বলেন, খামারগুলোর সুরক্ষা ও সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে হবে। বিশেষ করে, ভারত থেকে কোনোক্রমেই জীবিত কিংবা মৃত মুরগি, ডিম বাংলাদেশে এই মুহূর্তে আনা যাবে না। একইসঙ্গে পোলট্রি খামারগুলোতে জৈব সুরক্ষা জোরদার করতে হবে।
এদিকে বার্ড ফ্লু প্রতিরোধ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় পোলট্রি খামারিদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
সিলেটের জমিন/১৮মার্চ, ২০২৩