জগন্নাথপুরে টানা বৃষ্টিতে আমন ও সবজির ক্ষতি, বেড়েছে জনদুর্ভোগ

সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫৭ অপরাহ্ন

জগন্নাথপুরে টানা বৃষ্টিতে আমন ও সবজির ক্ষতি, বেড়েছে জনদুর্ভোগ

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

২০২৩-১০-১০ ০৩:১৮:১১ /

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে টানা কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে আমন ধান ও মৌসুমি শাক-সবজির ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেই সাথে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে হাওর, খাল-বিল, ও নদী-নালায় প্রায় ২ থেকে ৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া রাস্তাঘাট ও বাড়ির আঙ্গিনায় জমে আছে পানি। বৃষ্টির পানিতে উপজেলার নিচু এলাকায় রোপনকৃত আমন ধান অনেক স্থানে প্রায় নিমজ্জিত হয়ে গেছে। সেই সাথে মৌসুমি শাক-সবজির লাগানো কচি চারা নষ্ট হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৯ অক্টোবর সোমবার উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের আমন ও শাক-সবজি আবাদকারী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কৃষকদের মধ্যে আরজ আলী, একলিম উল্লাহ, শহিদ মিয়া সহ অনেকে জানান, মেঘের পানি এতোটা বেড়ে যাবে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। জমিতে লাগানো আমন ধান ডুবে গেছে। শাক-সবজির বাগান তো একেবারেই নষ্ট করে দিয়েছে। এতে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এখন আবার নতুন করে সবজি ক্ষেত আবাদ করতে হবে। যার প্রভাব স্থানীয় সবজি বাজারে পড়তে পারে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, আমন ধানের ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। কারণ বৃষ্টির পানিতে জমির ধান নিমজ্জিত হলেও এক সপ্তাহের মধ্যে ধান নষ্ট হয় না। তবে এক সপ্তাহের অধিক সময় নিমজ্জিত থাকলে ক্ষতি হতে পারে। আশা করছি, এক সপ্তাহের আগেই বৃষ্টির পানি নেমে যাবে। এতে কৃষক ভাইদের শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শাক-সবজির ক্ষতি হতে পারে। ভারি বৃষ্টিতে শাক-সবজির লাগানো কচি চারা নষ্ট হয়ে কমবেশি ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে-টানা বৃষ্টিপাতে রাস্তাঘাট ও বাড়ির আঙ্গিনায় জমে থাকা পানিতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন মানুষ। পাকা রাস্তাঘাটে চলাচল করা গেলেও কাচা রাস্তায় চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। মাটির কাচা রাস্তাগুলো জমে থাকা পানিতে রীতিমতো পিচ্চিল কাঁদামাটিতে পরিণত হয়েছে। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন মানুষ। ফলে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হতে চাইছেন না। যে কারণে হাট-বাজারে কমে গেছে জনসমাগম। পথচারী আলিম উদ্দিন, রহিম আলী সহ অনেকে বলেন, এমন মেঘ ভাই ছাতাও মানে না। ঘর থেকে বের হওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

তবুও বিশেষ প্রয়োজনে বাজারে এসেছি। যদিও দিনমজুর মানুষগুলো জীবন-জীবিকার তাগিদে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কাজে যেতে দেখা গেছে। এ সময় দিনমজুর আমজদ খান, রবি দাস সহ কয়েকজন জানান,  আমরা গরিব মানুষ মেঘ-রোদ মানলে তো চলবে না। রোজগার করে বাজার খরচ নিয়ে যেতে হবে ঘরে। তা না হলে বউ-বাচ্চা সহ পরিবারের সবাইকে না খেয়ে থাকতে হবে।

সিলেটের জমিন/মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩


এ জাতীয় আরো খবর

সিসিকে কাউন্সিলরদের ভোটে ৩ প্যানেল মেয়র নির্বাচিত

সিসিকে কাউন্সিলরদের ভোটে ৩ প্যানেল মেয়র নির্বাচিত

হঠাৎ অসুস্থ মেয়র আনোয়ারুজ্জামান, হাসপাতালে ভর্তি

হঠাৎ অসুস্থ মেয়র আনোয়ারুজ্জামান, হাসপাতালে ভর্তি

সরকারি কর্মকর্তাদের নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা দিলো হাইকোর্ট

সরকারি কর্মকর্তাদের নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা দিলো হাইকোর্ট

সিলেট থেকে উড়াল দেওয়া লন্ডনগামী বিমানের জরুরি অবতরণ

সিলেট থেকে উড়াল দেওয়া লন্ডনগামী বিমানের জরুরি অবতরণ

চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের গ্রেপ্তারে ইসির নির্দেশ

চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের গ্রেপ্তারে ইসির নির্দেশ

রনজিত সরকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

রনজিত সরকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ