
সমালোচনার কাঠগড়ায় সাকিবের অধিনায়কত্ব ও টিম ম্যানেজমেন্ট

সিলেটের জমিন স্পোর্টস ডেস্ক
২০২৩-১০-১৫ ১১:৩৪:৩৭ / Print

চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এই তিন ম্যাচের প্রতিটিতেই ব্যাটিং অর্ডারের পরিবর্তনটা ছিল চোখে পড়ার মতো। নিয়মিত পজিশন পরিবর্তন করে বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে ক্রিকেটারদের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর বিষয়টি ইতোমধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েছে।
চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিটের টপ-অর্ডারের পারফরম্যান্স খুবই শোচনীয়। তিন ম্যাচের প্রতিটিতেই রান করতে ব্যর্থ হয়েছে লাল-সবুজের টপ অর্ডারের ব্যাটাররা। এর প্রধান কারণ হিসেবে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তনকে দায় দিচ্ছেন।
একজন ক্রিকেটারকে এক ম্যাচে দেখা যায় ওয়ান ডাউনে নামতে। আরেক ম্যাচে তাকে দেখা যায় পাঁচে ব্যাটিং করাতে। বিষয়টি বিশ্বকাপের মঞ্চে দৃষ্টিকটূই বটে।
বারবার ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে ক্রিকেটারদের ওপরও। তাওহীদ হৃদয়ের কথাই ধরা যাক। তরুণ এই ব্যাটারকে নিজের জায়গা ছেড়ে খেলতে হয়েছে ৭ নম্বর পজিশনে। ফলাফল চোখের সামনে। তিনি ব্যাট হাতে রান করতে ব্যর্থতা সঙ্গী হয়েছে তার।
বাংলাদেশ তাদের তিন ম্যাচে তিন রকম টপ অর্ডারের কম্বিনেশনে খেলেছে। আর এমনটার জন্য ক্রিকেট বোদ্ধারা দুষছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও টিম ম্যানেজমেন্টকে।
সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের মনে করেন, ওপেনিংয়ের লিটন দাসের সঙ্গী হওয়া উচিত নাজমুল শান্তর। তিনে সাকিব ও চারে তাওহীদ হৃদয়ের।
আশরাফুল বলেন, ‘ম্যানেজমেন্টের উচিত সাকিবকে তিনে নিয়ে আসা। শান্তকে ওপেনিংয়ে আনা, লিটনের সঙ্গে। চারে হৃদয়, পাঁচে মুশফিক, ছয়ে রিয়াদ, সাতে হয়তো মিরাজ।’
এদিকে ব্যাটারদের ভালো পারফরম্যান্সের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাদ দিয়ে একটা নির্দিষ্ট ব্যাটিং লাইন-আপে খেলা জরুরি বলে মনে করছেন প্রখ্যাত ক্রিকেট বিশ্লেষক ও কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
তিনি বলেন, ‘যত বেশি ওপর-নিচ করা হবে, তত বেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে দ্বিধা তৈরি হবে। এটা ইঙ্গিত করে যে, কারও ওপর হয়তো আস্থা নেই। আবার কারও ওপর আস্থার মাত্রাটা বেশি– এই বিষয়গুলোই ইঙ্গিত করে। আমরা পূর্ণ প্রস্তুতি থাকা দল নিয়ে আসিনি, যার কারণে এখন পর্যন্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো দেখছি।’
সিলেটের জমিন/রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩

এ জাতীয় আরো খবর

