দুর্নীতির অভিযোগে নিজের চিফ অব স্টাফ গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর পদত্যাগ করেছেন পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা।গতকাল মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দে সোসার সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।  

প্রেসিডেন্ট মার্সেলো তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিবিসি, আলজাজিরাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি লিথিয়াম উত্তোলন এবং হাইড্রোজেন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী কস্তার চিফ অব স্টাফকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর পরই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করার ঘোষণা দেয় প্রসিকিউটর অফিস।

তবে পদত্যাগ করার আগে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৬২ বছর বয়সী কস্তা। তিনি বলেছেন, ‘আমি বিচার ব্যবস্থাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করি। যদি সন্দেহজনক কিছু থাকে, বিচারব্যবস্থা সেটি কোনো বাধা ছাড়াই দেখতে পাবে। আমি আইনের ঊর্ধ্বে নই।’

পর্তুগালের প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নামে হওয়া এ দুর্নীতির বিষয়টি দেখছে সুপ্রিম কোর্ট। যে হাইড্রোজেন ও লিথিয়াম উত্তোলন প্রকল্পে দুর্নীতির জেরে পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেন সেটিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়ন রয়েছে।

এদিকে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দেশটির অবকাঠামোমন্ত্রী জোয়াও গালাম্বাকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।পর্তুগালের বিরোধীদল এ দুর্নীতির ঘটনায় পুরো সরকারের পদত্যাগ চেয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।