
‘ঘূর্ণিঝড় দেখতে’ কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল

সিলেটের জমিন ডেস্ক রিপোর্ট
২০২৩-১১-১৭ ০৬:০২:১০ / Print

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে দেখানো হয়েছে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত। এজন্য সমুদ্র স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা উত্তাল। তবে এর মধ্যেও সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘোরাঘুরি করছেন পর্যটকরা। যদিও পর্যটকদের সৈকতে নামতে দিচ্ছে না টুরিস্ট পুলিশ।
এদিকে, উপকূলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বিএনপি জামায়াতের ডাকা হরতাল ও ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের মধ্যে কিছু সংখ্যক পর্যটক পরিবার পরিজন নিয়ে মিধিলির প্রভাব উপভোগ করার জন্য এসেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রশাসনের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নির্দেশনা মানছেন না উৎসুক জনতা। পাত্তা দিচ্ছেন না বিচ কর্মী, লাইফগার্ড কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশকে। উল্টো তর্কে জড়িয়ে পড়ছেন উৎসুক জনতার অনেকেই।
বাড্ডা থেকে এসেছেন তারেক আহমেদ অনিক, শুক্রবার সকালে সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে সাগরে গোসল করতে নামেন তিনি। ঘূর্ণিঝড়ের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে কেন নেমেছেন তিনি? এমন প্রশ্নের জবাবে অনিক বলেন, মূলত ঘূর্ণিঝড় দেখতে রুম থেকে সমুদ্রে এসেছি। এটি কখন আসবে সেই অপেক্ষায় আছি। তবে অনেক ভালো লাগছে।
ঢাকা থেকে অফিস সহকর্মীদের সঙ্গে আসা মশিউর অর্ণব বলেন, আসছিলাম ঘুরতে। তার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়েছে। এটি সত্যি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। বড় বড় ঢেউ দেখে ছবি তুলে রাখছি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের বিচ কর্মী ও টুরিস্ট পুলিশ মাঠে আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকালে সাড়ে ৯টার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়।
সিলেটের জমিন/শুক্রবার ● ১৭ নভেম্বর ২০২৩

এ জাতীয় আরো খবর

